একজন দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হওয়া মানে যথাযথভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং অনলাইনে নিরাপদে এবং জ্ঞানের সাথে কাজ করা।
ডিজিটাল নাগরিকত্বের ধারণাটি অনলাইনে যোগাযোগ, কেনাকাটা এবং তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সাথে সাথে আরও বেশি স্বীকৃত হচ্ছে। এই কারণে, দায়িত্বশীল অভ্যাসগুলি অনুশীলনের জন্য আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিকত্বের ধারণা অনুযায়ী বোঝা এবং পরিচালনা করা আপনাকে অনলাইনে অন্যদের মধ্যে সম্মান, শিক্ষিত এবং নিজেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ধাপ
3 এর 1 ম অংশ: অনলাইনে নিজেকে এবং অন্যদের সম্মান করা
পদক্ষেপ 1. অনলাইনে থাকার সময় শিষ্টাচারের সাথে আচরণ করুন।
অনলাইনে আচরণ ও পদ্ধতির সঠিক মান অনুসরণ করে ডিজিটাল শিষ্টাচার অনুশীলন করুন। অনলাইনে উপযুক্ত আচরণের মডেল করুন, এবং অনলাইনে এবং ব্যক্তিগতভাবে অন্যদের সাথে ডিজিটাল শিষ্টাচার শেখাতে এবং আলোচনা করতে ইচ্ছুক হন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ভদ্র হন! অনলাইনে নিজের একটি ইতিবাচক চিত্র উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। উপযুক্ত ডিজিটাল শিষ্টাচারের জন্যও আপনার প্রয়োজন:
- আপনার কটাক্ষ কম করুন। যেহেতু মুখের অভিব্যক্তি এবং দেহের ভাষা পাঠ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় না, তাই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যগুলি সহজেই নেতিবাচকভাবে অনুভূত হতে পারে।
- মতবিরোধ বাড়াবেন না। কঠোর, উগ্র বা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করবেন না।
- সাইবার-বুলিংয়ে অংশ নেবেন না। যখন আপনি সাইবার-বুলিং দেখেন তখন কথা বলুন। হয়রানির লক্ষ্যকে সমর্থন করুন এবং স্বীকার করুন যে যারা ব্যবহারকারীরা ধর্ষণ করছে তারা অনুপযুক্ত আচরণ করছে।
পদক্ষেপ 2. সঠিকভাবে তথ্য বিনিময় করুন।
ডিজিটাল যোগাযোগ, বা তথ্য এবং চিঠিপত্রের বৈদ্যুতিন বিনিময়, দ্রুত একে অপরের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান রূপ হয়ে উঠছে। তবে, আপনি অনলাইনে যা পোস্ট করেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনি যাদের চেনেন না তাদের সাথে ব্যক্তিগত তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে শেয়ার করবেন না এবং যে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি বিশ্বাস করেন না।
বুঝতে পারেন যে যোগাযোগের কিছু রূপ ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করার জন্য আরও উপযুক্ত। বিশেষভাবে:
ধাপ 1.
- আপনার ছুটির পরিকল্পনা, আপনার আয় এবং এমন কিছু যা আপনি বা অন্য কাউকে বিপদে ফেলতে পারে সে সম্পর্কে পোস্ট করবেন না।
- আপনার চাকরি বা সম্পর্ক সম্পর্কে আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতি সম্পর্কে পোস্ট করবেন না। জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে একান্তে আবেগপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন করুন।
পদক্ষেপ 2. আইন অনুসরণ করুন।
ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট আইনি অধিকার এবং বিধিনিষেধ রয়েছে। জেনে রাখুন যে আপনি আপনার অনলাইন আচরণের জন্য আইনত দায়বদ্ধ। কপিরাইট এবং ন্যায্য ব্যবহার নীতি সম্পর্কে নিজেকে শিক্ষিত করুন যদি আপনি বৈধতা সম্পর্কে অনিশ্চিত হন যার সাহায্যে আপনি অনলাইনে যে কোনও ধরণের মিডিয়া অর্জন করতে চান। পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) শেয়ারিং পরিষেবা ব্যবহার করে বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন। আরো নির্দিষ্টভাবে:
- টাকা, মেধা, বা অন্য কারো পরিচয় চুরি করবেন না।
- অন্যের কাজ, পরিচয় বা অনলাইন সম্পত্তির ক্ষতি করবেন না।
- অবৈধভাবে উপলব্ধ সঙ্গীত বা চলচ্চিত্র ডাউনলোড করবেন না।
- ধ্বংসাত্মক ম্যালওয়্যার, প্রোগ্রাম বা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন না।
- স্প্যাম পাঠাবেন না।
3 এর 2 অংশ: ডিজিটাল নাগরিকত্ব সচেতনতার পক্ষে উকিল
ধাপ ১. নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারকে সমর্থন করুন।
নতুন প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে অন্যদের শেখার এবং শেখানোর মাধ্যমে ডিজিটাল সাক্ষরতার উন্নতিতে কাজ করুন। স্বীকার করুন যে নতুন প্রযুক্তিগুলি বৃহত্তর এবং বৃহত্তর ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে উদ্ভূত হচ্ছে। একজন দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হওয়ার জন্য প্রয়োজন কিভাবে আমরা এই প্রযুক্তিগুলিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি। উপরন্তু, স্বীকার করুন যে শিক্ষকদের এখন শ্রেণিকক্ষে প্রযুক্তি কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। নিশ্চিত করুন যে আপনার বাচ্চারা এবং আপনার বাড়ির নিকটবর্তী স্কুলের সেই শিশুরা ফোন করে এবং জিজ্ঞাসা করে তাদের ডিজিটাল সাক্ষরতা আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা। গাইড শিক্ষাবিদদের সাহায্য করার জন্য অনলাইনে বেশ কয়েকটি পাঠ্যক্রম এবং পাঠ পরিকল্পনা রয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটি শিক্ষা বিভাগ "ডিজিটাল যুগে নাগরিকত্ব" নামে একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা তৈরি করেছে যার মধ্যে K-12 গ্রেডের পাঠ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পদক্ষেপ 2. ডিজিটাল অ্যাক্সেস নিশ্চিত করুন।
ডিজিটাল অ্যাক্সেস বলতে সেই ডিগ্রীকে বোঝায় যেখানে মানুষ সমাজে ইলেক্ট্রনিকভাবে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়। অনলাইনে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার সময় স্বাগত জানান। আর্থ -সামাজিক অবস্থা, যোগ্যতা এবং শারীরিক অবস্থান নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য ডিজিটাল প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির পক্ষে আরও সক্রিয় উপায় রয়েছে। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত বিষয় হল সকল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিতে ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস প্রদান করা, এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক সংস্থা কাজ করছে। ডিজিটাল অ্যাক্সেস বাড়াতে সাহায্য করার আরও কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল:
- আপনার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের ইন্টারনেটে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার সরঞ্জামগুলির প্রাপ্যতাকে অগ্রাধিকার দিতে লবি করুন। এই কারণগুলির জন্য সেই রাজনীতিবিদ এবং সম্প্রদায় সংগঠকদের কাজকে সমর্থন করুন।
- আপনার স্থানীয় লাইব্রেরি বা এটি ব্যবহার করতে পারে এমন একটি স্কুলে আপনার অব্যবহৃত প্রযুক্তিগত সরঞ্জামগুলি অবদান রাখুন।
- ডিজিটাল অ্যাক্সেস বাড়ানোর জন্য কাজ করে এমন একটি সংস্থার সাথে স্বেচ্ছাসেবক।
ধাপ your. নিজের এবং অন্যের অধিকার ও দায়িত্ব স্বীকৃতি দিন।
ডিজিটাল অধিকার এবং দায়িত্বগুলি স্বাধীনতার আকৃতি এবং নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকেরই অনলাইনে উপভোগ করতে সক্ষম হওয়া উচিত। নোট করুন যে অধিকারগুলি দায়িত্বের সাথে আসে। আপনি যে অবস্থান এবং নেটওয়ার্কে ব্যবহার করছেন তাতে আপনার নিজের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং এই তথ্য অন্যদের সাথে শেয়ার করুন যদি তারা সেই অনুযায়ী আচরণ না করে। এই জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে আপনার বাকস্বাধীনতার মাত্রা এবং অধিকাংশ পাবলিক ওয়েবসাইট দেখার আপনার স্বাধীনতা। আপনার সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করা প্রত্যেককে সম্মান করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার নিজের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না।
ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে সমাজের অগ্রগতির সাথে সাথে নতুন প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারকে সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করার জন্য আপনার অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে ইতিবাচক, সম্মানজনক কথোপকথনে অবদান রাখুন।
3 এর 3 ম অংশ: অনলাইনে নিজেকে রক্ষা করা
ধাপ 1. ডিজিটাল নিরাপত্তা বজায় রাখুন।
আপনার প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং অনলাইন আচরণের সাথে সাথে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সেইসাথে অনলাইনে শেয়ার করা সামগ্রীর সাথে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আপনার পরিচয় সম্পর্কিত তথ্যের সাথে বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন। ডিজিটাল নিরাপত্তার সাথে কাজ করার জন্য এগুলি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ:
- অনলাইনে যাওয়ার জন্য আপনি যে সরঞ্জাম ব্যবহার করেন তাতে ভাইরাস সুরক্ষা ইনস্টল করুন।
- ইমেল সংযুক্তি খোলার সময় এবং লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকুন।
- আপনার ডেটা ব্যাকআপ করুন, বিশেষত একাধিক নিরাপদ স্থানে।
- বর্ধিত আবহাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক gesেউ ইত্যাদির মতো আরও বাস্তব বিপদ থেকে আপনার সরঞ্জামকে রক্ষা করতে একটি সার্জ প্রটেক্টর ব্যবহার করুন।
পদক্ষেপ 2. আপনার স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিন।
যদিও আপনি কম্পিউটারে বসে বিপজ্জনক বা অস্বাস্থ্যকর ছবি তুলতে পারেন না, আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা আপনার ডিজিটাল জীবনধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়। ডিজিটাল জগতে পরিচালনার শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এই বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন, এবং অন্যদেরকেও সচেতন থাকতে উৎসাহিত করুন। কম্পিউটার এবং অন্যান্য অনলাইন ডিভাইসের ভারী ব্যবহারের সাথে জড়িত কিছু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে:
- কার্পাল টানেল সিনড্রোম।
- চক্ষু আলিঙ্গন.
- দরিদ্র অঙ্গবিন্যাস.
- ইন্টারনেট আসক্তি.
- পুনরাবৃত্তিমূলক স্ট্রেস সিনড্রোম।
ধাপ digital. দায়িত্বশীলতার সাথে ডিজিটাল বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকুন।
ডিজিটাল বাণিজ্য অনলাইনে পণ্য ও সেবা ক্রয় -বিক্রয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। এই অনুশীলনের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অনলাইনে লেনদেন করার আগে শুধুমাত্র সুচিন্তিত এবং নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিন। অনলাইনে পাওয়া অনেক পণ্য ও সেবা বৈধভাবে নির্দিষ্ট কিছু দেশে রাখার অনুমতি নেই। নিশ্চিত হোন যে আপনি যে কোনও লেনদেনে অংশ নেন তা আইনী এবং বৈধ।
